When We Rest, The World Rust
- এই একটি বাক্যই যথেষ্ট ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে..!
MSE-Materials Science & Engineering কি....?
বর্তমান বিশ্বের সবথেকে অগ্রসরমান এবং সম্ভাবনাময়ী ইন্জিনিয়ারিং সাবজেক্টগুলার মধ্যে সবথেকে যে সাবজেক্টটি এগিয়ে তা হলো MSE.
কি ভাবছ..? MSE আবার কি সাবজেক্ট..? এটাতে পড়ে কাজ কি..! কখনো তো নাম শুনিনি..! আসলে কিন্তু MSE অনেক পুরাতন সাবজেক্ট। CIVIL বা MECHANICAL এর মত এটিও অনেক পুরাতন প্রকৌশলবিদ্যা। মানুষের তামা আবিষ্কার এর মধ্য দিয়েই মূলত MSE এর মূল যাত্রা শুরু।
১৯৬০ সালে Northwestern University তে এইসাবজেক্ট এর পথচলা শুরু। এর ইতিহাস ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে।তো আগে MSE সাবজেক্ট এর কোনো অস্তিত্ব ছিলোনা কথাটি ভিত্তিহীন কথা। অস্তিত্ব ছিলো অবশ্য তবে এতো বিস্তৃত পরিসরে ছিলো না। পৃথিবীর আধুনিকায়নের সাথে সাথে MSE এর বৃদ্ধির পরিসর সমানুপাতিক হারে বেড়ে চলেছে।
কোথায় MSE- Materials Science & Engineering পড়ানো হয়.......?
বর্তমান বিশ্বের অফুরন্ত চাহিদা কে সামনে রেখে বাংলাদেশে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে RAJSHAHI UNIVERSITY -তে ২০০৪ সালে MSE এর যাত্রা শুরু হয়। আমাদের দেশে সর্বপ্রথম বুয়েটে এই সাবজেক্ট এর যাত্রা শুরু হয়েছিল।
বর্তমানে এ বিষয়ে পড়ানো হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিষ্ঠান এর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- MIT- Massachusetts Institute of Technology
- Stanford University
- University Of California
- Georgia Institute of Technology
- Northwestern UniversityNorthwestern University
- University of Michigan
- Cornell University
- Caltech - California Institute of Technology
- Pennsylvania State University--University Park
- Imperial College Of London
- Seuol National University
- Tokyo University of Science
- National University of Singapore
বাংলাদেশে নিম্নের বিশ্ববিদ্যালয় গুলাতে MSE চালু রয়েছে :
- Bangladesh University of Engineering and Technology (MME নামে এই সাবজেক্ট টি প্রচলিত)
- University of Rajshahi
- Khulna University of Engineering & Technology
- Rajshahi University of Engineering & Technology
- Chittagong University of Engineering & Technology
বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের ও নামকরা বুয়েট,রাবি, কুয়েট, রুয়েট ও চুয়েট সবজায়গায় যে সাবজেক্টটি নিয়ে পড়ানো হচ্ছে তার ব্যাপক চাহিদার কথা আশা করি ইতোমধ্যেই বুঝে গেছো।
কি শিখব MSE- Materials Science & Engineering থেকে.......?
এখানেই হচ্ছে মজা। MSE তে তুমি সব খাবারের মজা পাবা। মানে হচ্ছে কোর্স ডিজাইনটা
এমনভাবে করা যার ফলে তুমি Chemical, Electrical, Mechanical, Civil, Textile Nuclear, Aerospace সহ মোটামুটি সব বিষয়ে ঘাটার সুযোগ পাবা আর জানতে পারবা। এক কথায় তোমার জানার পরিধিটা হবে অনেক বিস্তর।। MSE is a multidisciplinary subject..!
MSE-Materials Science & Engineering এ কি পড়ানো হয়...?
আমাদের চারপাশের প্রতিটা জিনিস ই কিছু না কিছু দিয়ে তৈরী। আর এগুলা নিয়ে পর্যালোচনা করাই ম্যাটেরিয়ালস ইন্জিনিয়ারদের কাজ। আমাদের হাতের স্মার্টফোন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যাতায়াত এ ব্যবহৃত যানবাহন সহ মহাকাশযান পর্যন্ত MSE এর অবদান রয়েছে। নিত্য ব্যবহার করা হয় এমন প্রতিটা জিনিসেই রয়েছে MSE এর ছোঁয়া। প্রধানত ৫ টি সেক্টর নিয়ে কাজ করে MSE
- মেটাল
- সিরামিক
- সেমিকন্ডাক্টর
- পলিমার
- কম্পোজিট
মেটাল: বর্তমানের সবথেকে আকর্ষনীয় জিনিসগুলার মধ্যে অন্যতম। নবম-দশম শ্রেনীতে নিশ্চয়ই পড়েছ খনি থেকে আকরিক সংগ্রহ করে তা থেকে ধাতু নিষ্কাশন এর কথা। মনে মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছিলো তখন..? আশা করি সকল প্রশ্নের উত্তর MSE তে পাবে। এছাড়া ধাতুকে কিভাবে প্রসেস করলে তা মানুষকে Better service in low cost দিতে পারবে, কিভাবে recycle করলে যেকোনো ধাতব বস্তুকে কাজে লাগানো যাবে, সাইকেল, মোটর সাইকেল, গাড়ি, জাহাজ, উড়োজাহাজ, প্লেন, মহাকাশযান ও এগুলার ইন্জিনের উপাদান কি হলে সহজে নষ্ট হবে না, পানিতে নষ্ট হবে না বা এগুলার জন্য নতুন আরো উন্নত গুণাবলী যুক্ত উপাদান তৈরী করা ও এমন আরো হাজার হাজার মজার জিনিস নিয়েই MSE এর কাজ।
সিরামিক: সিরামিক..! বাসার নিত্য ব্যবহার্য থালা-বাসন থেকে শুরু করে মেঝের টাইলস সহ সিরামিকের একটা বিশাল ক্ষেত্র আছে। উচ্চতাপমাত্রায় কাজ করার যন্ত্র, অপটিক্যাল ফাইবার, ইনস্যুলেটর, সিমেন্ট, কৃত্রিম অঙ্গ সহ Electrical wire এও এর ব্যবহার রয়েছে।
সেমিকন্ডাক্টর: Electric Chip এখন সব জায়গায়। আর MSE এর কাজের একটা বড় ক্ষেত্র জুড়ে এই ন্যানোটেকনোলজির কাজ। কিভাবে কোন ইলেকট্রনিক ম্যাটেরিয়াল কাজ করবে, কত ভোল্টেজ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে এসবই নির্ভর করে উপাদানের উপর। আর এই উপাদান বা বস্তু নিয়েই তো MSE এর কাজ। কিভাবে ইলেকট্রনিক স্ট্রাকচার চেন্জ হবে, Band Theory , Quantum Structure {ex: quantum dots} এসব নিয়েও কাজ হয় MSE তে...।
পলিমার: পলিমার আমাদের নিত্য দিনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।সকালেরঘুম থেকে উঠে ব্যবহৃত টুথব্রাশ থেকে শুরু করে পড়াশোনার জন্য ব্যবহৃত কলম সহ প্রচুর জিনিসে পলিমারের ব্যবহার রয়েছে। টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি তে এই পলিমার নিয়ে বিস্তর কাজ হয় যা MSE এর ই অন্তর্ভুক্ত বিষয়। এছাড়া এয়ারক্রাফট, খেলনা, প্লাস্টিক, প্যাকেজিং, কম্পিউটার, ইলেকট্রিকাল সুইচ সহ একটা বিশাল ক্ষেত্রে এই পলিমারের কাজ যার গুনাগুন কন্ট্রোল করা বা পরিবর্তন ঘটিয়ে এর ব্যবহারকে আরো তরান্বিত করা নিয়ে MSE কাজ করে।
কম্পোজিট: উপরে বর্ণিত ৪ প্রকার ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে তৈরীকৃত নতুন ম্যাটেরিয়াল ই হলো কম্পোজিট। Badminton Racket, আধুনিক উচ্চগতির প্লেনের বডি, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, বা গ্লাসসহ আরো অনেক কিছুই এর আওতায় পড়ে। এখানে চলে ম্যাটেরিয়ালস এর গুনাগুন, বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম নিয়ে খেলা।। নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যের ম্যাটেরিয়ালস তৈরী করার কাজটাই তো MSE এর।
এছাড়া Optical Microscope, এ Metal কিংবা Ceramic এর Microstructure কন্ট্রোল করা ম্যাটেরিয়ালস ইন্জিনিয়ারদেরই কাজ। পৃথিবীতে কিন্তু খুব কম মানুষই এ সুযোগটা পায়।
এগুলাই MSE- Materials Science & Engineering এর পড়ার মূল বিষয়।
MSE তে পড়ানো হয় এমন কিছু বেসিক জিনিস:
- Materials Structure
- Electronic & Mechanical Properties of Materials
- Bio & Polymeric Materials
- Materials Processing
- Polymer Engineering
- Crystallography
- Materials Manufacturing Process
- Extractive Metallurgy & Ore Dressing
- Computational Materials Science
- Smart & Bio Materials
- Smart & Bio Materials
- Materials for Nuclear & Renewable Energy
- Materials for Nuclear & Renewable Energy
- Ceramic & Glass
- Corrosion & Corrosion Engineering
- Engineering Management
- Engineering Economics
- Engineering Design
- Fuel Cell
- Nanotechnology
- Micro Electronics
- Laser Processing
- Chemical Sensor
- Film Science
- Bio-Materials
- Extractive Metallurgy ,etc.
MSE- Materials Science & Engineering এ ক্যারিয়ার....?
কি সবার মুখে অমুক সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে NASA তে আছে ওই সাবজেক্ট এ পড়ে GOOGLE, MICROSOFT এ আছে, অমুক এর স্যালারী অনেক High, তমুক দেশের বাইরে থাকে এখন, কি পড়লে এমন কিছু করা যায় এসব নিয়ে ভাবছো এখন নিশ্চয়...?
দেশের বাইরে MSE তে ক্যারিয়ার...
- গবেষণার খুব ইচ্ছা?চোখ বন্ধ করে নিয়ে নিতে পার এমএসই।বর্তমানে বিশ্বে যত গবেষণা হয় তার মধ্যে অত্যধিক একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল MSEতে। যেকোনো কার্যক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় সাশ্রয়ী এবং উদ্ভাবনী ম্যাটেরিয়ালস এর। তাই ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে বিদেশে চলে যেতে পার আর নিজের মত করে একটি নতুন ম্যাটেরিয়াল আবিষ্কার করে চমকে দিতে পার পুরো বিশ্বকে। হয়ত সামনের কোনো বিজ্ঞানের চমকে অপেক্ষা করছে তোমারই নাম!
- এমএসই এর কাজের ক্ষেত্র অনেক বড়। ন্যানোটেক,বায়ো মেডিকেল, ইলেকট্রিক্স,নিউক্লিয়ার ইজ্ঞিনিয়ারিং এরকম বিষয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পারছ না আশা করি ভুল কোনো সাবজেক্ট এর ধারস্থ হও নি।কেননা এমএসইতে পড়ে এসব বিষয়ে রয়েছে উচ্চশিক্ষার অনেক বড় সুযোগ। তাই ভবিষ্যতে এসবের পড়ার ভালো সুযোগ এখনো তোমার আছে। Intel,IBM এর মত প্রতিষ্ঠানে কাজ করারও সুযোগ রয়েছে এখান থেকে।একটু গুগল করলেই আরো বিস্তারিত জানতে পারবা।
ও আচ্ছা!গুগল থেকে মনে পড়ল। বর্তমানে গুগলের CEO পদে অধিষ্ঠিত Sundar Pichai কিন্তু MSE এর ছাত্র। তিনি গুগলে যোগদানের আগে সিলিকন ভ্যালিতে Applied Materials নামক এক শীর্ষ ন্যানোম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানে ম্যাটেরিয়ালস ইন্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।
- ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগের গবেষণায় MSE এখন ভুমিকা রাখছে। হাড়,দাঁত প্রতিস্থাপন, কৃত্তিম পা, হাত সবই ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্টিস্টরা করছে। কারণ মানুষের দেহে এসব প্রতিস্থাপন করতে হলে এমন উপাদান প্রয়োজন হবে যা শরীরের কোন ক্ষতি করবে না। আর উপাদান মানেই তো MSE।হয়তো তোমাদের মধ্যেই কেউ কম খরচে কৃত্তিম কিডনি বা সেরকম কিছু বানাবে, ক্যান্সারকে নির্মূল করবে- বাঁচাবে হাজার হাজার প্রান।
- ক্যান্সার সহ বিভিন্ন জটিল রোগের গবেষণায় MSE এখন ভুমিকা রাখছে। হাড়,দাঁত প্রতিস্থাপন, কৃত্তিম পা, হাত সবই ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্টিস্টরা করছে। কারণ মানুষের দেহে এসব প্রতিস্থাপন করতে হলে এমন উপাদান প্রয়োজন হবে যা শরীরের কোন ক্ষতি করবে না। আর উপাদান মানেই তো MSE।হয়তো তোমাদের মধ্যেই কেউ কম খরচে কৃত্তিম কিডনি বা সেরকম কিছু বানাবে, ক্যান্সারকে নির্মূল করবে- বাঁচাবে হাজার হাজার প্রান।
ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাসট্রিতে প্রায় শতভাগ খাঁটি সিঙ্গেল ক্রিস্টাল সেমিকন্ডাকটর নির্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ, এই সেমিকন্ডাকটরের মধ্যেই ফটোলিথোগ্রাফির মাধ্যমে তড়িৎ বর্তনী অঙ্কন করা হয়। সেই সেমিকন্ডাকটরে কণা পরিমাণ খাদ থাকলেও প্রসেসিং ক্ষমতা কমে যায়। এধরণের সংবেদনশীল ম্যানুফ্যাকচারিং প্রক্রিয়া, তার উপর সোলডারিং এর মাধ্যমে তড়িৎ যন্ত্রাংশ ঢালাই করা, ইনসুলেটিং কোটিং প্রয়োগ করা প্রভৃতি ম্যানুফ্যাকচারিং ও ফ্যাব্রিকেশন এর কাজ একজন ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তুমি করতে পারবে।
আমাদের অনেক অ্যালামনাই বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা করছেন। MIT, Carnegie Mellon, UC Davis, UT Arlington, McGill, KTH Royal Institute of Technology প্রভৃতি বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমাদের এলামনাইরা ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাসট্রি, অটোমোটিভ ইন্ডাসট্রি, এরোস্পেস ইন্ডাসট্রির জন্য ম্যাটেরিয়াল উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছেন।এতো বিচিত্র ইনডাসট্রিতে এমএসই গ্র্যাজুয়েটদের বিচরণ Materials Science and Engineering এর বিশাল স্কোপের উপর আলোকপাত করে।
বর্তমান বিশ্বের Highly Paid জব এর লিস্টে top 10 এর মধ্যে রইছে এই Materials Engineer এর জব। আসলে এটি এমন এক সাবজেক্ট যেখানে যদি নিজের সবটুকু ঢেলে দেওয়া হয় তো তোমার চাকরি খুঁজতে হবে না,চাকরি নিজেই তোমাকে খুঁজবে!। তবুও চাকরির চিন্তা??
দেশের ভেতরে MSE তে ক্যারিয়ার...
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বিভিন্ন কম্পানি এবং সরকারি সার্কুলার এ আলাদা করে MSE তে গ্রাজুয়েটদের চাওয়া হয়।
- বাংলাদেশে Gas, Coal, Pharmaceuticals এ রয়েছে MATERIALS ENGINEER দের ব্যাপক চাহিদা।
- দেশের মধ্যে তোমার জন্য তো রইছেই Atomic energy commission, BCSCI, Bangladesh Tobacco int., Uniliver, Renata, Partex, Walton, BSRM, KSRM সহ বিভিন্ন টপ র্যাঙ্কড কোম্পানিতে চাকরি করার লোভনীয় সুযোগ। এছাড়া "রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র MATERIALS ENGINEER দের পদচারণায় মুখর থাকবে তা আর বলতে হবে না।
- Steel industry, Ceramic Industry, Food Packaging Industry, Gas Fields, Power Generation Company, High tech manufacturing industries such as Walton and Linde group এসব জায়গায় রয়েছে MATERIALS ENGINEER দের জব।
- সরকারী/ স্বায়ত্তশাসিত/ সশস্ত্রবাহিনীতে চাকুরি: BCSIR, Atomic Energy Commission, BITAC, PDB, Bangladesh Machine Tools Factory, Bangladesh Ordinance Factory (সশস্ত্র ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য বন্দুক, কার্তুজ, গ্রেনেড প্রস্তুতকারক), Bangladesh Army EME Corps, Bangladesh Air Force Engineering.
বর্তমান ও ভবিষ্যৎঃ
শুরুতেই বলেছি বাংলাদেশে খুব বেশি পরিচিত না। এর একটা বড় কারন পাশ করে বেশিরভাগ ছাত্র স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে যায় অথবা চাকরিতে ঢুকে যায়। আর তাই MSE এর ভাইয়ারা কোচিং সেন্টারে সহজলভ্য না ফলে তাদের ডিপার্টমেন্ট এর নাম-গুণ শোনা হয় না খুব একটা। আগে হয়ত আমাদের কাজ যা মেকানিকাল বা ইলেক্টিকাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে করানো হত কিন্তু এখন পন্যের চাহিদা বাড়ায় মান নিশ্চিত করতে এমএসই এর ইঞ্জিনিয়ারদেরই লাগছে।
ফলে গত কয়েক বছরে এমএসই এর চাহিদা অনেক বেড়েছে এবং তা বাড়বেই। যেহেতু দেশে একমাত্র BUET, RU, KUET, RUET, CUET ছাড়া আর কোথাও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হিসেবে নেই তাই অন্যদের মত চাকরি নিয়ে প্রতিযোগিতাও কম। আর বহির্বিশ্বে এর চাহিদা অনেক আগে থেকেই বেশি।
তো যদি এখানে তোমার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য MSE তে পড়ার কারন খুজে পাও তাহলে চোখ বন্ধ করে নিয়ে নিতো পারো MSE..!
Welcome to Materials Science & Engineering. We handle stress without strain.